অনার্স/মাস্টার্স পাশ করে যখন বন্ধুরা চাকরি / ব্যবসা / বিদেশি ডিগ্রী নিয়ে ব্যাস্ত তখন গাদা গাদা বই মুখস্থ করা আইন বিষয় নিয়ে ডিগ্রীধারীরা চেম্বার খুজতে ব্যাস্ত। জুনিয়রশিপ শেষ করার পর শুরু হয় আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার দীর্ঘ অপেক্ষা!!
ইতিমধ্যে, বাসা থেকে চাপ সৃষ্টি হয়। আর কতো দিন মাস্টার্স পাশ করা ছেলে /মেয়েদেরকে চালাতে হবে!! বিয়ে কবে করবে!! বাবা-মা কে কোন কিছু দেয়ার আনন্দ বঞ্চিতরা উল্টো কাচুমাচু করে টাকা চেয়ে নেয়। এরপর, শুধু বঞ্চনার পালা। যারা ভুল করে বিয়ে করে ফেলে তাদের কথা আর নাই বললাম।যেখানে, আইনজীবীরাও প্রথম ৫ বছর বিয়ে করতে ভয় পায়, সেখানে তাদের কষ্ট যাত্রা তো সবে শুরু! এই অপেক্ষার পালা দীর্ঘ হতে হতে কত দীর্ঘ হবে কে জানে?? শেষ পর্যন্ত আমরন অনশণ করতে দেখলাম! আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার জন্য আনদোলনের নজীর বিশ্বের আর কোথায় আছে জানিনা!
#এর মধ্যে অনেককেই বলতে শুনি, আবার কেউ কেউ Facebook Status দিয়ে বড় করে post দেন, “আগের আইনজীবীরারা না মরে যাওয়া পযন্ত আর আইনজীবী তালিকাভুক্ত না হয়”, ” কম কম পরীক্ষা হওয়াই ভালো”, ইত্যাদি! তাদের মানষিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা কামনা করি। আপনারা তাহলে কি চান যেন, ৫০,০০০ মানুষ আমাদের মৃত্যুর জন্য চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকুক?? আমরা হয়েছি বলে কি তাদের হওয়ার অধিকার নাই??
#বাংলাদেশের জনসংখ্যার তুলনায় আইনজীবী অনেক কম। এর জন্য বিভিন্ন বারে decentralization এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মেধা যাচাই এর জন্য আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষা আরও কঠিন হোক, কিন্তু অবশ্যই সঠিক সময়ে হোক। এই ৫০০০০ এর মধ্যে (MCQ, Written, Viva) দিয়ে হয়তো ৫০০০ জনও টিকবে না। তারা কত বছরে পরীক্ষা দিবে?? আর যারা টিকবে তাদের জন্য 1/2 Years Juniorship এর পর HCD permission Test এর আরেক দীর্ঘ অপেক্ষা! আর না টিকলে, আরও কত অপেক্ষা বাকী থাকবে, কে জানে!!
#আইনজীবী হওয়ার পরেও ৫/৬ বছর Basic Foundation করতে চলে যায়। বার কাউন্সিল আগে থেকেই Training এর ব্যবস্থা রাখলে এমন হতো না। শিক্ষাথীদের ভাতার ব্যবস্থা করা উচিত। যার উদাহরণ আমরা India তে দেখতে পাই। এভাবে, এদের Career আর জীবন seriously না নিয়ে আমরা কি মেধাবীদের হারাচ্ছি না?? রিজিকের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত। আর ভরসা না থাকলেও নিজের উপর করুন। নিজের উপর না থাকলে, নিজেদেরই সরে যাওয়া ভালো। অন্যদের খারাপ চাইলে আপনি নিসন্দেহে একজন অসুস্থ মানুষ যার অতি দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
লেখক:ইসরাত হাসান
আইনজীবী :বাংলাদেশ সূপ্রীম কোর্ট