মহামান্য সূপ্রীম কোর্টের রায় ২০১৯ এর মধ্যে কার্যকর করে পরীক্ষা নেয়ার দাবীতে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের সূপ্রীম কোর্টে অমরন আনশনের ১দিন চলে গেলেও বারকাউন্সিল কর্তৃপক্ষ উদাসীন!

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষার তারিখ অবিলম্বে ঘোষণা চেয়ে, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে ৫ দফা দাবীতে ‘আমরণ অনশন কর্মসূচি’ পালন করেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীবৃন্দ
(নভেম্বর ১১, ২০১৯ সাহিন কাদির)
শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের দাবীসমূহ
১. অবিলম্বে এনরোলমেন্ট পরীক্ষার ২০১৯ এর তারিখ ঘোষণা করা হউক ।

২. লিখিত পরীক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ওএমআর শীট সংযোজন করা হউক ।

৩. লিখিত পরীক্ষার খাতা সকল বিচারকদের দেখার ব্যাবস্থা করে এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা।

৪. লিখিত পরীক্ষার খাতা রিভিউ সুযোগ দানের ব্যবস্থা করা।

৫. অবিলম্বে ২০১৭ সালের মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের রায় কার্যকারীকরণ পূর্বক প্রতিবছর এনরোলমেন্ট পরীক্ষা গ্রহন করতে হবে।

১১ নভেম্বর সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। বার কাউন্সিল বিধিতে ৬ মাস পর পর পরীক্ষা নেওয়ার বিধান থাকা সত্ত্বেও বার কাউন্সিল সেই মোতাবেক পরীক্ষা নিচ্ছে না । ২০১১ সাল থেকে তিন স্তরের পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হওয়ার পর ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে ৪টা ব্যাচ এডভোকেট সাটিফিকেট পায় যেখানে ১৮ টা ব্যাচ সাটিফিকেট পাওয়ার কথা। আইনজীবী তালিকাভুক্তির একটি পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ করতে তিন বছরের মতো সময় নিচ্ছে। এতে আইনের ছাত্ররা আইন পেশায় যুক্ত হতে গিয়ে জীবন থেকে অনেক বছর হারিয়ে ফেলছে। এছাড়া প্রতি বছর পরীক্ষা না নেয়ায় শিক্ষানবিশ আইনজীবীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। প্রায় ৫০০০০ শিক্ষানবিশ আইনজীবী অপেক্ষা করছে পরবর্তী এনরোলমেন্ট পরীক্ষার জন্য।

শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের এসব দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন।

গত ৫ নভেম্বর এসব দাবী দাওয়া লিখিত আকারে বার কাউন্সিলকে জানান শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা। কিন্তু বার কাউন্সিল বিষয়গুলো আমলে না নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আজ থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা। শেষ খবর পাওায়া পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চলছে।