বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা, ১৯৭২
- বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা, ১৯৭২
- বার কাউন্সিল একটি বিধিবদ্ধ বা সংবিধিবদ্ধ বা স্বায়ত্বশাসত বা চিরস্থায়ী বা যৌথ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা।
- এটি প্রেসিডেন্ট অর্ডার বা অধ্যাদেশ দিয়ে গঠিত হয় বলে এটি বিধিবদ্ধ বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বলে ।
- বার কাউন্সিল নিয়ন্ত্রয় করে সরকার কিন্তু এর কার্যক্রম পরিচালনা করে বার কাউন্সিল তাই এক স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বলে ।
বার কাউন্সিলে ৩ ধরনের সংগঠন থাকবে, এই কারণে একে যৌথ প্রতিষ্ঠান বলে । যথা:-
১) বার কাউন্সিল (সমগ্র বাংলাদেশে ১টি)
২) বার এসোসিয়েশন (সমগ্র বাংলাদেশে ৮১টি)
৩) বার কাউন্সিল ট্রইবুন্যাল বার কাউন্সিল ( ১ বা একাধিক গঠন করা যায় পূর্বে ৩টি বেশী গঠন করা যেত না)
- বার কাউন্সিল ১৯৭২ সনের ১৭ই মে, সর্বপ্রথম প্রকাশিত বা প্রতিষ্ঠিত বা প্রণীত বা পাশ হয় ।
- ৪৬ নং প্রেসিডেন্ট অর্ডার বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে পাশ হয় ।
- বার কাউন্সিল কার্যকর হয় বা বলবৎ হয় ১৯৭১ সনের ২৬ শে মার্চ ।
- বার কাউন্সিলে অনুচ্ছেদ ৪৬টি, বিধি আছে মোট ১০১টি ।
- পেশাগত আচরন বিধি নিয়ে অধ্যায় আছে ৪টি ।
বি:দ্র : বার কাউন্সিলের ধারা ও অনুচেছদগুলো পরিবর্তন করতে পারে সরকার / আইনসভা / জাতীয় সংসদ / পার্লামেন্ট ।
- বাংলা ও ইংরেজী নিয়ে কোন সাংঘর্ষিকতা তৈরী হলে বাংলা গ্রহনযোগ্য ।
- বিধিগুলো পরিবর্তন করতে পারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ।
- আদেশগুলো পরিবর্তন করতে পারেন বাংলাদেশ মহামান্য হাইকোর্ট / সুপ্রীম কোর্ট ।
- Option – এ হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্ট একসঙ্গে থাকলে, আদি এখতিয়ার হাইকোর্ট -এর থাকায়, হাইকোর্ট প্রাধান্য বা অগ্রাধিকার পাবে ।
- বার কাউন্সিল একটি স্বায়ত্বশাসিত সরকারী সংস্থা বা Statutory Body বা Autonomous Body, সুতরাং এটি নিয়ন্ত্রন করে সরকার ।
- বার কাউন্সিল একটি বিশেষ আইন বা মৌলিক আইন বা ঝঢ়বপরধষ ষধি ।
- ১লা জুলাই থেকে ৩ বছরের জন্য নির্বাচনের মাধ্যমে বার কাউন্সিলের কমিটি গঠন করা হয় । তবে এর পূর্বে অবশ্যই ৩ শে মে -এর মধ্যে বার কাউন্সিল – এর নির্বাচন অনুষ্টিত হতে হবে ।
- নির্বাচনের ৩০ দিন পূর্বে ভোটার হবার জন্য বা এসোসিয়েসন – এ আবেদন করতে হবে ।
- ভোট হবার ১০ দিন পূর্বে অবশ্যই ভোটার তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে । মনে রাখা প্রয়োজন
- বার কাউন্সিল বা সংস্থার নির্বাচন হয় ৩ বছর পর পর । আর বার এসোসিয়েসন বা সমিতির নির্বাচন হয় ১ বছর পর পর ।
- অনুচ্ছেদ ২(ক) : এ্যাডভোকেট : যিনি বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত ব্যক্তি, তিনিই এ্যাডভোকেট ।
- একজন এ্যাডভোকেট বাংলাদেশের সকল বিচারিক আদালত ও ট্রাইব্যুনাল – এ মামলা পরিচালনা করারা ক্ষমতা রাখেন । – অনুচ্ছেদ ১৯ ।
- অনুচ্ছেদ ২(কক) : এ্যাটর্নি জেনারেল : এ্যাটর্নি জেনারেল ৩ ধরনের হবে –
১) ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল
২) এ্যাসিটেন্ট এ্যাটর্নি জেনারেল
৩) এ্যাটর্নি জেনারেল
- সরকারী মামলা পরিচালনা করার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রত্যেকাট ব্যক্তি এ্যাটর্নি জেনারেল – এর অর্ন্তভুক্ত হবে ।
- সরকারী উকিল মানেই এ্যাটর্নি জেনারেল ।
- অনুচ্ছেদ ২(খ) : বার কাউন্সিল ও বার এসোসিয়েসন :
- আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত সমিতিকে বার এসোসিয়েসন বলে ।
- আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত সংস্থাকে বার কাউন্সিল বলে ।
- বাংলাদেশে ২ ধরনের বার এসোসিয়েসন থাকবে-
১) সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েসন
২) স্থানীয় বার এসোসিয়েসন
- একটি জেলায় এক বা একধিক বার এসোসিয়েসন থাকতে পারে ।
- স্থানীয় বার এসোসিয়েসন কখনই সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েসন – এর অর্ন্তভুক্ত হবে না ।
- বার কাউন্সিল সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০১০ সালের ১০ ই ডিসেম্বর বাংলা ১৪১৯ সনের ২৬ শে অগ্রহায়ন ।
অনুচ্ছেদ ৩ : বার কাউন্সিল একটি যৌথ প্রতিষ্ঠান যার চিরস্থায়ী উত্তরাধীকারী থাকবে ।
অনুচ্ছেদ ৩ (২) :
- বার কাউন্সিল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ধারন করতে পারবে ।
- চুক্তি করতে পারবে
- অন্যের বিরূদ্ধে মামলা করতে পারবে
- নিজ নামে মামলা হলে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারেবে
- এককথায় আইনজীবী হিসেেেবকোন ব্যক্তির আইন পেশার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বার কাউন্সিল নিয়ন্ত্রন করে বিধায় বার কাউন্সিলকে সমগ্র বাংলাদেশের আইনজীবীদেও অভিভাবক বরা হয় ।
অনুচ্ছেদ ৫ : বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের গঠন:- বার কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫ জন । যথা:-
- পদাধিকারবলে বাংলাদেশের এ্যাটর্নি জেনারেল ( ১ জন) ।
- সমগ্র বাংলাদেশের আইনজীবীদের মধ্য থেকে নির্বচিত ( ৭ জন) ।
- অঞ্চলভিত্তিক আইনজীবীদের মধ্য থেকে নির্বচিত ( ৭ জন) ।
১ + ৭ + ৭ = ১৫ জন – (৭ + ৭) = ১৪ জন (নির্বাচিত)
অনির্বাচিত = ১ জন
অনুচ্ছেদ ৫(ক) : বার কাউন্সিলের সদস্যপদ : কোন এ্যাডভেকেট একাধারে ২ বারের অধিক বার কাউন্সিলের সদস্যপদ গ্রহন করতে পারবে না । অর্থাৎ কোন সদস্য উপর্যুপরি ২ বারের বেশী বার কাউন্সিলের কার্যালয়ে অবস্থান করতে পারবে না ।
অনুচ্ছেদ ৬ : চেয়ারম্যান বা সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান বা সহ-সভাপতি : বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বা সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান বা সহ-সভাপতি হবেন-
- পদাধিকারবলে এ্যাটর্নি জেনারেল হবেন বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বা সভাপতি
- বার কাউন্সিলের সদস্যগণের মাধ্যমে নির্বাচিত একজন হবেন ভাইস চেয়ারম্যান বা সহ-সভাপতি
বি:দ্র: কোন ভাইস চেয়ারম্যান বা সহ-সভাপতি পদ শূণ্য হলে নির্বাচিন সদস্যগণের মধ্য থেকে পুনরায় নির্বাচনের মাধ্যমে ভাইস চেয়ারম্যান বা সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হবে ।
- কোন সদস্যপদ শুন্য হলে তালিকাভুক্ত সদস্যগণের মধ্য থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিই হবেন পরবর্তী সদস্য ।
- ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলা ২৬ শে অগ্রহায়ন ১৪১৯ সালে ৪৪ নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় ।
- সরকার জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ – এর মধ্য থেকে বা বিচার বিভাগীয় ব্যক্তিবর্গের মধ্য থেকে বার কাউন্সিলের সচিব বা সেক্রেটারী নিয়োগ দেবেন । – অনুচ্ছেদ ৬(ক)
অনুচ্ছেদ ৮: যে বছর বার কাউন্সিলের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হবে । সেই বছরের ৩ শে মে – এর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে ।
বি:দ্র: বার কাউন্সিলের গ্রুপভিত্তিক নির্বাচনের জন্য সদস্য সংখ্যা হবে ৭ জন । ফোরাম হবে ৫ জনের ।
- নির্বাচনের মনোনয়ন ফি ১,০০০/- টাকা ।
- নির্বাচনের ৪৫ দিন পূর্বে তফসিল ঘোষনা করতে হবে ।
- যাচাই বাছাই – এর সময়কাল ৭ দিন ।
অনুচ্ছেদ ১০: বার কাউন্সিলের কার্যাবলী:
- এ্যাডভোকেটদের তালিকাভুক্তিকরন ও এই উদ্দেশ্যে পরীক্ষা নেয়া, সনদ প্রদান করা এবং কোন এ্যাডভোকেটকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া ।
- এ্যাডভোকেটদের বিরূদ্ধে পেশাগত অসদাচরনের বিচার ও শাস্তি দেয়া ।
- এ্যাডভোকেটদের আচার-আচরন ও নৈতিকতা নির্ধারন করা ।
- আইন শিক্ষার উন্নয়ন করা (আইন পেশার নয়)
- বার কাউন্সিলের সদস্যগণের জন্য নির্বাচনের আয়োজন করা ।
অনুচ্ছেদ ১১: বার কাউন্সিলের কমিটি:
- নির্বাহী কমিটি / Executive Committee : সদস্য সংখ্যা ৫ জন (বার কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ) ।
- আর্থিক কমিটি / Finance Committee : সদস্য সংখ্যা ৫ জন (বার কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ) ।
- আইন শিক্ষা কমিটি / Legal Education Committee : সদস্য সংখ্যা ৯ জন । নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য থেকে ৫ জন এবং অনির্বাচিত ৪ জন । অনির্বাচিত ৪ জনের মধ্য থেকে ২ জন হবে বিশ্ববিদ্যালয় বা মহাবিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এবং বাকি ২ জন তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের মধ্য থেকে ।
৯ জন = ৫ জন + ২জন + ২ জন
৫ জন সদস্য + ২ জন শিক্ষক + ২ জন আইনজীবী /তালিকাভুক্ত এ্যাডবোকেট
অনুচ্ছেদ ১১(খ) : তালিকাভুক্ত কমিটি /Enrollment Committee : ২০১২ সালের ১ নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত । মোট সদস্য ৫ জন ।
- প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনিত আপীল বিভাগের ১ জন বিচারপতি হবেন তালিকাভুক্ত কমিটির চেয়ারম্যান বা সভাপতি ।
- প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনিত হাইকোর্ট বিভাগের ২ জন বিচারপতি ।
- এ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকারবলে তালিকাভুক্তি কমিটির সদস্য ।
- বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যগণের মধ্য তেকে মনোনীত একজন হবেন তালিকাভুক্তি কমিটির সদস্য।
৫ = ১ + ২ + ১ + ১
৫ = আপীল বিভাগ (১জন) + হাইকোর্ট ( ২জন) + এ্যাটর্নি জেনারেল ( ১ জন) + সদস্য ( ১জন)
মনে রাখা প্রয়োজন : তালিকাভুক্তির জন্য কত বছরের আইন পেশায় অভিঞ্জ আইনজীবীর নিকট ৬ মাস আইন চর্চায় নিয়োজিত থাকতে হবে ।
- এই সময়ের মধ্যে ৫টি দেওয়ানী ও ৫ টি ফৌজদারী মোট ১০টি মামলার অভিঞ্জতা অর্জন করতে হবে ।
- হাইকোর্টে প্রাকটিস্ করতে হলে ন্যূনতম ২৫টি মামরার নিম্ন আদালতে আইন পেশার অভিঞ্জতা থাকতে হবে ।
- তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় পাশ করার পর ৬ মাসের মধ্যে সার্টিফিকেট অর্জন করতে ব্যর্থ হলে তার সনদ বাতিল করা যাবে ( ৫,০০০/- টাকা জমা দিতে হয় ) ।
- তালিকাভুক্তির জন্য সচিব বরাবর ২,৪০০/- টাকা জমা দিতে হয় । অতিরিক্ত ফি বা বাৎসরিক ফি ২০০/- টাকা।
- বি:দ্র: বার কাউন্সিল তার প্রয়োজন মত যত খুশি তত সংখ্যক কমিটি গঠন করতে পারবেন ।
- বার কাউন্সিলের সকল কমিটির সচিব হবে পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের সচিব ।
অনুচ্ছেদ ২১: হাইকোর্ট বিভাগে আইন পেশা করার জন্য ৩টি যোগ্যতা থাকতে হবে –
ক)বাংলাদেশের কোন অধঃস্তন আদালতে ন্যূনতম ২ বছর আইন পেশার অভিঞ্জতা থাকতে হবে অথবা আইনে সম্মান পাশ বা বাংলাদেশের বাইরের কোন আদালতে ।
খ)এ্যাডভোকেট হিসেবে আইন পেশায় নিয়োজিত থাকতে হবে । ব্যারিস্টারও এর অর্ন্তভুক্ত হবে ।
গ)বার কাউন্সিলের অন্যান্য শর্তাবলী পূরণ করতে হবে ।
অনুচ্ছেদ ২৭(১) : এ্যাডভোকেট হবার যোগ্যতা :
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে ।
- ন্যূনতম বয়স ২১ বছর হতে হবে । ( বয়সের সর্বোচ্চ – এর কোন সীমা নেই )
- আইন বিষয়ে ডিগ্রি থাকতে হবে – বার কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত ।
- এ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে ।
- নিবন্ধন ফি দিতে হবে এবং বার কাউন্সিলের অন্যান্য শর্তাবলী পূরন করতে হবে ।
অনুচ্ছেদ ২১(১)(ক) : মোক্তারগণও এ্যাডভোকেট হতে পারবেন । একজন ব্যক্তি ৭ বছর মোক্তার হিসেবে কাজ করলে এবং আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করলে তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারেবে ।
অনুচ্ছেদ ২৭(৩) : এ্যাডভোকেট হবার অযোগ্যতা : কোন ব্যক্তির ২’টি অযোগ্যতা থাকলে এ্যাডভোকেট হতে পারবেনা । যথা-
- সরকারী চাকুরী থেকে নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে বরখাস্ত হলে বা অপসারিত হলে, অপসারিত হওয়ার পরবর্তী ২ বছর অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত ।
- নৈতিক অবক্ষয়জনিত কারণে দন্ডিত হলে, দন্ডিত হওয়ার পরবর্তী ৫ বছর অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত ।
টেকনিক:
- সরকারী চাকুরী থেকে বরখাস্ত = ২
- দন্ডিত = ৫
অনুচ্ছেদ ৩২: পেশাগত অসদাচরনের অভিযোগ: একজন এ্যাডভোকেট পেশাগত অসদাচরনের করলে যেকোন ব্যক্তি তার বিরূদ্ধে বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ বা নালিশের মাধ্যমে দরখাস্ত দায়ের করতে পারবেন । অভিযোগের যৌক্তিকতা থাকলে বার কাউন্সিলঅনুচ্ছেদ ৩৩-এর ক্ষমতাবলে ট্রাইবুন্যাল গঠন করবেন।
- সচিব ট্রাইবুন্যাল -এর সেক্রেটারী পদাধিকার বলে ।
- দরখাস্তের সাথে অবশ্যই হলফনামা সংযুক্ত করতে হবে ।
অনুচ্ছেদ ৩২(১): পেশাগত অসদাচরনের জন্য একজন আইনজীবী দোষী প্রমাণিত হলে ট্রাইবুন্যাল ৩’ধরনের শাস্তি দিতে পারে-
- তিরস্কার/ মৃদু ভর্ৎসনা
- সাময়িকভাবে আইন পেশা হতে বরখাস্ত / আইন চর্চা হতে নয় ।
- চিরতরে আইন পেশা হতে বহিষ্কার / সনদ বাতিল ।
বি:দ্র: দরখাস্তর সাথে ১,০০০/- টাকা জমা দিতে হবে ।
আইনজীবীর বিরূদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীকে ৫০০/- ক্ষতিপূরণের আদেশ দেয়া যাবে।
বি:দ্র: শুনানীর আগে অভিযুক্ত আইনজীবীকে ও এ্যাটর্নি জেনারেলকে নোটিশ প্রদান করতে হবে । ট্রাইবুন্যাল জেলা ও দায়রা জজ – এর ক্ষমতা রাখেন । এবং আপীল হাইকোর্টে । মামলা শুনানীর আগে ২১ দিন বা ৩ সপ্তাহ আগে আইন জীবী ও এ্যাটর্নি জেনারেলকে নোটিশ দিতে হবে । অভিযুক্ত এ্যাডভোকেট নোটিশ পাবার ৭ দিনের মধ্যে উত্তর দেবেন ।
শাস্তির বিরূদ্ধে করণীয়: অনুচ্ছেদ ৩৬ মতে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি ৯০ দিন বা ৩ মাসের মধ্যে হাইকোর্টে আপীল দায়ের করবেন । অথবা অনুচ্ছেদ ৩৪(৮) এ ১ মাস বা ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইবুন্যাল -এর নিকট রিবিউ দায়ের করতে হবে ।
অনুচ্ছেদ ৩৩: বার কাউন্সিলের ট্রাইবুন্যাল – এর মোট সদস্য সংখ্যা ৩ জন ।
১ বা একাধিক ট্রাইবুন্যাল গঠন করা যাবে ।
ট্রাইবুন্যাল – এর মোট সদস্য:-
- বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যগণের মধ্য থেকে ২ জন ।
- তালিকাভুক্ত আইনজীবীগণের মধ্য থেকে ১ জন ।
২ + ১ = ৩
নির্বাচিত সদস্য + তালিকাভুক্ত সদস্য = ৩ জন
বি:দ্র: আইন পেশায় যিনি বয়োজেষ্ঠ্য তিনি হবেন ট্রাইবুন্যাল -এর চেয়ারম্যান / সভাপতি ।
অনুচ্ছেদ ৪০: বিধি প্রনয়ন: বার কাউন্সিরের বিধি প্রনয়নের আগে সরকারের পূর্ব অনুমতি লাগবে । অর্থাৎ গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে ।
অনুচ্ছেদ ৪১: কোন ব্যক্তি নিম্নে আদালতে বা হাইকোর্টে বিভাগের এ্যাডভোকেট না হয়েও আইন পেশা করলে এর শাস্তি ৬ মাস বা ১৮০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হবে ।
পেশাগত অসদাচরন নিয়ে অধ্যায় আছে ৪টি –
- আইনজীবীর সাথে (বিধি ১১টি)
- মক্কেলের সাথে (বিধি ১৪টি)
- আদালতের সাথে (বিধি ৯টি)
- জনগণের সাথে (বিধি ৮টি) আইনজীবীর (দায়িত্ব ও কর্তব্য)
এই ৪টি আচরন বিধিতে মোট বিধি আছে ৪২ টি ।
জেনে রাখা ভালো:
- সাধারন আসনে ভোট ৭টি
- দলগত আসনে ভোট ১টি এ
- কজন আইনজীবী মোট ভোট দিবেন ৮টি । ’X’ চিহ্ দিয়ে ভোট দিতে হয় ।
- ইলেকশন ট্রাইবুন্যাল – এর সদস্য সংখ্যা ৩ জন ।
- বার কাউন্সিলের মেয়াদ শুরুর তারিখ হতে ৩০ দিন বা ১ মাসের মধ্যে বার কাউন্সিলের সচিব ১ম সভা আহবান করবেন ।
- সাধারন সভা আহবান করবেন চেয়ারম্যান বা সভাপতি । তার অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি . ভাইস চেয়ারম্যান ।
- সাধারন সভা নির্ধারনের সময়কাল ১ সপ্তাহ / ৭ দিন ।
- বার কাউন্সিলের সভার জন্য ৫ জনের ফোরাম হতে হবে এবং এক তৃতীয়াংশ উপস্থিত থাকতে হবে ।
- বিধি ৪৯: বার কাউন্সিলের সম্পাদক বা সাধারন সম্পাদক পদাধিকারবলে সেক্রেটারী বা সচিব । আসতে পারে:
- বিধি ৫৮ অনুযায়ী আইনজীবীর তালিকাভুক্তির আবেদন করতে হয় ফরম ’এ’ – তে ।
- রেজিস্ট্রেশন – ফরম ’জি’ তালিকাভুক্তি / ফরম ফিলাপ – ফরম ’এ’
- বিধি ৬০(১) : শিক্ষানবীশ: একজন এ্যাডভোকেট বার কাউন্সিলের অনুমতি ব্যতিত ৪ জনের বেশী শিক্ষানবীশ গ্রহন করতে পারবে না ।
- বিধি ৬০(৩): কোন প্রার্থী তার তালিকাভুক্তির আবেদনপত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দিলে বা ভুল তথ্য দিলে ৫ বছরের জন্য এ্যাডভোকেট হিসেবে নিবন্ধিত হবার যোগ্যতা হারাবে ।
- ২ – সরকারী
- ৫ – দন্ডিত
- ৫ – ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলে
Onek valo laglo
আমাকে যদি পিডিএফ আকারে দিলে খুব ই উপকার হ বে
ITS out of our community