সুনিদ্দিষ্ট প্রতিকার আইনের শিরোনাম ও ইতিহাস
- সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭
- সু + নির্দিষ্ট = সুনির্দিষ্ট
- সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন – ১৮৭৭ সালের – ১ নং আইন
- যা ১লা মে থেকে বলবৎ/কার্যকর
- ৭ই ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত / পাশ/ প্রতিষ্ঠা হয় ।
- সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন একটি মূল আইন / ঝঁনলবপঃরাব ষধি / ঝঁনংঃধহঃরাব ষধি /তত্ত্বগত আইন / বস্তুগত আইন । (মূল মানে মৌলিক নয় )
- সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন দেওয়ানী কার্যবিধিকে অনুসরন করে ।
- সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ইক্যুইটি আইন /ন্যায়পরায়নতার আইন থেকে উৎপত্তি বা ব্রিটিশ ইক্যুইটির ফসল ।
- দেওয়ানী মামলা দায়েরের ফলে বাদী যে প্রতিকার দাবী করে, যে আইন দ্বারা সুনির্দিষ্টভাবে আদালত ডিক্রির মাধ্যমে উক্ত প্রতিকার মঞ্জুর করে তাকে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার বলে বাদী যে প্রতিকার চাচ্ছেন আদালত যে আইন দ্বারা সুনির্দিষ্ট ভাবে উক্ত প্রতিকার মঞ্জুর করেন তাকে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন বলে ।
- যখন অন্য কোন আইনে প্রতিকার পাওয়া যায়না অর্থাৎ যে ক্ষতির মানদন্ড কোন কিছুর মাধ্যমে নির্নয় করা সম্ভব নয় সেক্ষেইে কেবল সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন কার্যকর ।
- অন্য কোন আইনে উক্ত প্রতিকার পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন অকার্যকর । সালিশ আইনের বিধান ব্যতিরেকে চুক্তির সুস্পষ্ট বাস্তবায়ন সম্ভব নয় ।
- সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের সাথে এমনভাবে সম্পৃক্ত যা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের ন্যায় ।
- সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ২০০৪ সালে ২৭ নং আইন দ্বারা সর্বশেষ সংশোধন করা হয় যা ১লা জুলাই ২০০৫ – এ পাশ বা প্রকাশিত।
- ধারা ৫৭টি, অধ্যায় ১০টি, ৩টি খন্ডে বিভক্ত ।
- ১ – ৭ ধারা অবধি ১ম খন্ডে
- ৮ – ৫১ ধারা অবধি ২য় খন্ডে
- ৫২ – ৫৭ ধারা অবধি ৩য় খন্ডে
ধারা ৩: সংঞ্জাসমূহ:
বাধ্যবাধকতা: বাধ্যবাধকতা বলতে আইন দ্বারা বলবৎ প্রতিটি কর্তব্য অর্ন্তভুক্ত হবে ।
জিম্মা/ হেফাজত: জিম্মা বা হেফাজত বলতে প্রত্যেক ধরনের সুস্পষ্ট ইঙ্গিতবাহক অথবা আনুষাঙ্গিক বিশ্বাসপূর্বক মালিকানা অর্ন্তভুক্ত করতে হবে ।
ইচ্ছাধীন / স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা/ বিবেচনামূলক ক্ষমতা/ স্ব-কার্যজনিত ক্ষমতা:- ইচ্ছাধীন / স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা/ বিবেচনামূলক ক্ষমতা/ স্ব-কার্যজনিত ক্ষমতা আদালতের স্বেচ্ছাচারীতাকে বোঝাবে না । এটি আদালতের বিচার বিভাগীয় মূলনীতি দ্বারা পরিচালিত হবে এবং আপীল দ্বারা সংশোধনযোগ্য ।
কোর্ট ফি: কোর্ট ফি ২’প্রকার –
১) মূল্যানুপাতিক বা এ্যাডভেলুরাম
২) নির্ধাািরত/ ফিক্সড /ঠিকা কোর্ট ফি
বি:দ্র: কোর্ট ফি আইনের ৭(গ) ধারায় বলা হয়েছে অর্থের উপরে বা বিষয়বস্তুর উপরে বা মূল্যমানের উপরে যে কোর্ট ফি ধার্য করা হয় তাকে মূল্যানুপাতিক বা এ্যাডভেলুরাম কোর্ট ফি / তায়েদাদ মূল্য বলে ।
- কিছু কিছু মামলার কোর্ট ফি নির্ধারন করে দেয়া আছে একে নির্ধারিত / ফিক্সড / ঠিকা কোর্ট ফি বলে । যেমন:- ঘোষণামূলক মামলার কোর্ট ফি ৩০০ টাকা ।
- স্থাবর সম্পত্তির মূল্যমানের উপর ২% হারে কোর্ট ফি দিতে হয় ।
- অস্থাবর সম্পত্তির মূল্যমানের উপর ২.৫ % হারে কোর্ট ফি দিতে হয় ।
টেকনিক: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী ঘোষণামূলক মামলার কোর্ট ফি ৩০০ টাকা এবং ৯ ধারা অনুযায়ী দখল পুনরূদ্ধারের মামলার কোর্ট ফি মূল্যানুপাতিকের অর্ধেক দিয়ে মামলার দায়ের করতে হয় । এই দু’টি ধারার মামলা ব্যতিত সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের অন্যান্য সকল মামলার কোর্ট ফি মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফি ।
বি:দ্র: নিষেধাঞ্জার মামলার কোর্ট ফি মূল্যানুপতিক ইহাই শর্ত । কিন্তু যখন নিষেধাঞ্জার ক্ষেত্রে মূল্যমান নির্ধারন করা যায় না, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত ৩০০/- টাকা কোর্ট ফি দিয়ে মামলা দায়ের করা যাবে ।
খেসারত বা ক্ষতিপূরণ: খেসারত বা ক্ষতিপূরণ -এর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না । অর্থাৎ কোন মামলায় ক্ষতিপূরণ চাইতে বাদী বাধ্য নয় । আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতা বলে ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করবেন ।
Thanks Thanks
Very Important Information for MCQ