| বারকাউন্সিলের অনিয়ম ফাঁস। ক্ষুব্ধ জেডআই খান পান্না

 ।সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জেড আই খান পান্না৬৭ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর এনরোলমেন্ট (আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্তি) পরীক্ষা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক, প্রায় ৬৭ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী ৩ বছর ধরে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তাদের বিষয়ে আমরা কোনও পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এ দায় আমাদের।’ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অনিয়মের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জেড আই খান পান্না বলেন, ‘১২ বছর ধরে আমি বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য। আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কতগুলো সমস্যার সমাধান করতে না পেরে আপনাদের সামনে নিজের দায়বদ্ধতা স্বীকার করছি। সবচেয়ে যেটি দুঃখজনক, তা হলো প্রায় ৬৭ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর পরীক্ষা নিতে না পারা।’ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী বলেন, ‘পরীক্ষা না হওয়ার জন্য আমরা এনরোলমেন্ট কমিটির ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছি। অথচ অনেক চিন্তা ভাবনা করেই মেধাবী ও যোগ্যদের আইনজীবী করার জন্য আমরা এনরোলমেন্ট কমিটি করি। ২০০৪ সাল থেকে এই কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। এই কমিটির একটি অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে যদি রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমা হয়, তাহলে এ কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু তা করা হয় না। এসব পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওভারটাইম কাজ করেছে, তাদের টাকাও পরিশোধ করা হয়নি।’ জেড আই খান পান্না বলেন, ‘পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশনের সব টাকা বার কাউন্সিলের ফান্ডে যায়।’ পেশা ও শিক্ষার মান নির্ধারণের জন্য রেজিস্ট্রেশনের সব টাকা এনরোলমেন্টের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের দাবি জানান তিনি। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চার বারের নির্বাচিত এই সদস্য আরও বলেন, ‘বার কাউন্সিলের পরীক্ষার সময় আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে বাতিল করি, কিন্তু আগে থেকে নিষিদ্ধ করে কেন নোটিশ দিই না? এসব দায়িত্ব পালনে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এখানে পরিবর্তন আনা দরকার। আমার সুপারিশ হলো—প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ ও প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি আছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক মাপকাঠি আছে। আইনজীবী হওয়ার ক্ষেত্রেও তেমন একটা মাপকাঠি প্রয়োজন।’ ‘আমি নির্বাচিত সদস্য হওয়ায় আইনজীবীদের কাছে আমার জবাবদীহীতা রয়েছে। কিন্তু আমি পারছি না। আমি অপারগ না, আমি ব্যর্থ।’ এর আগে এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী করে গেজেট দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। কিন্তু হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রিটটি শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। সে অপরাগতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘কোন আইনে তারা অপরাগতা প্রকাশ করেছেন? বিচারপতি হওয়ার সময় শপথ নিয়েছেন যে, তারা কখনও কারও ওপর অনুরাগ-বিরাগ বা আবেগতাড়িত হতে পারবেন না। তবুও তারা সেটা করলে তো শপথ ভঙ্গ হবে। বিচারপ্রার্থী যেই হোক তাকে বিচার দিতে হবে।’