আবরার ফাহাদকে শিবির কর্মী প্রমাণ করতে পারলে কি ওর খুন বৈধতা পাবে আর খুনীরা নব্য মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাবে?
মগের মুল্লুকের চেয়েও বেশি সেচ্ছাচারিতার (একটি গোত্রের) দেশে ন্যায়বিচার চেয়ে লাভ নেই। দুদিন পরেই নতুন কোন ইস্যুতে আমরা সব বেমালুম ভুলে যাব। যে পোস্ট নিয়ে দাদাদের পাচাটা দালালেরা আবরারকে পিটিয়ে মারার অধিকার পেয়েছিল সেই পোস্টটি হুবুহু কপি করে ধরে রাখলাম নিজের টাইমলাইনে-
১.৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশেে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
২.কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।
৩.কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।
হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
“পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।”
লেখক:কানিজ ফাতেমা মিতু